Rabindra Sangeet Albums. Sung by the verified singers of this website. 160 talented singers & over 850 songs.
Rabindra Sangeet Collections. Sung by the verified singers of this website. Nearly 500 unique Tagore songs.
Detail information about Rabindra Sangeet. All the lyrics, notations, background history with detail musical compositions, English translation and many more.
Introduction to Correct Pronunciations of Bengali alphabets
This initiative endeavours to rectify inadvertent errors made by enthusiastic Bengali speakers, musicians, and theatre artists.
উৎসাহী বাঙালী বাচিক, সঙ্গীত ও নাট্যশিল্পীদের অনিচ্ছাকৃত ভুল সংশোধনের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ ।
This page explains in detail the Correct Pronunciation of the Bengali alphabets. Sound and letters complement each other. Sound is the oral form of language produced by the human voice, while letters are the written representation of these sounds. In this discussion, we will focus on the colloquial Bengali language.
ধ্বনি ও বর্ণ একে অপরের পরিপূরক । ধ্বনি হল শব্দের উচ্চারিত রূপ যা একজনের গলা থেকে বায়ু নির্গত হওয়ার সময় মুখ থেকে নিসৃত হয় এবং অপর জনের কানে প্রবেশ করে । অপর পক্ষে বর্ণ উচ্চারিত ধ্বনির লিখিত রূপ । এখানে আমরা বাংলা কথ্যভাষার রূপটির আলোচনা করব ।
বাংলা ভাষা সংস্কৃত ভাষাজাত হলেও ভৌগোলিক, সামাজিক ও আরো বিভিন্ন কারণে তার চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটেছে । লেখ্যভাষার সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তীত হয়েছে কথ্যভাষার রূপও । জন্ম হয়েছে অনেক বৈচিত্র্যময় আঞ্চলিক উপভাষার । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ এবং এঁদের মতো বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কারিগরদের জন্য লেখ্যভাষার চলতি রূপ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায় । কিন্তু কথ্যভাষার অনুরূপ স্বীকৃতির ভবিষ্যৎ অদ্যাবধি অজ্ঞাত ।
বাংলা ভাষায় বহু ক্ষেত্রেই এই দুই রূপের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করা সম্ভব হয় না । বাংলা ভাষায় কথা বলা কিংবা বাচিক শিল্পে তার প্রয়োগের জন্য সঠিক উচ্চারণ জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন । শুধু ভাষার মধুরতা নয়, কথনের সঠিক অর্থনির্দেশও একমাত্র সঠিক উচ্চারণের দ্বারাই সম্ভব । পৃথিবীর অন্যান্য বহু ভাষার মতো বাংলা ভাষাতেও এমন অনেক ধ্বনির প্রয়োগ হয় যার লিখিত রূপ আদৌ সম্ভব নয় ।
উচ্চারণ নিয়ে গবেষণামূলক কাজ বিরল হলেও একেবারে হয়নি তা নয় । অনেক ভাষাবিদ পণ্ডিত এই কাজের গুরুত্ব বিচার করে বাংলা ভাষার উচ্চারণ সংক্রান্ত নিয়মাবলি রচনা করার জন্য সচেষ্ট হয়েছেন । কিন্তু এই কাজের বিভিন্ন জটিলতার কারণে তাঁদের মধ্যে উদাহরণের দিকে ঝোঁক দেখা যায় । তার অন্যতম কারণ ভাষার চলমান প্রকৃতি । পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার প্রভাব এবং আধুনিক জীবনের প্রয়োজনে ভাষার মধ্যে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী । এ ছাড়াও বাংলা ভাষার উৎসের বৈচিত্র বহু ব্যতিক্রমের সৃষ্টি করেছে । মূলতঃ সংস্কৃতজ হলেও আরবী, ফারসী, ওলন্দাজ, পোর্তুগীজ, ইংরাজী, হিন্দী, উর্দু, সাঁওতালি এমন কি নেপালী ইত্যাদি ভাষার প্রচ্ছন্ন প্রভাব লক্ষ্যণীয় । পুরুলিয়া থেকে চট্টগ্রাম এবং কোচবিহার থেকে বরিশাল এই বিশাল এলাকার মানুষের মৌখিক ভাষার মধ্যে আঞ্চলিকতা এক অদ্ভুত বৈচিত্র এনে দিয়েছে । সে কারণে একটি নিয়মের মধ্যে বাংলা ভাষাকে বেঁধে রাখা এক প্রকারে অসম্ভব বলে মনে হয় ।
তৎস্বত্বেও সঙ্গীত ও অন্যান্য বাচিক শিল্পের প্রয়োজনে আমাদের এই ভাষাকে এক সূত্রে গাঁথা দরকার । নইলে বিভ্রান্তির সুযোগ থেকে যায় । বর্তমান যুগে প্রত্যকটি মানুষের বৈচিত্রপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে সকলেই আপন স্বাতন্ত্র সযত্নে লালন করে চলেছেন । সকলকে বাঙালীর পরিচয় দিতে শিল্পকলার বিকল্প নেই । তাই আমাদের বিচিত্র আঞ্চলিক ভাষাসমূহকে যথাযথ মর্যাদা দিয়েও এই প্রমিত বাংলা কথ্যভাষার রীতি প্রকাশ করার প্রচেষ্টা ।
বাংলাভাষা মূলতঃ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক বিস্তীর্ণ জনপদের ব্যবহৃত ভাষা । প্রতি পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরত্বে এই ভাষার রূপের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য লক্ষ করা যায় । ইংরেজ শাসনকালে এত বৈচিত্রের মধ্যে কলকাতার কথ্যভাষাকে প্রমিত কথ্যরীতির মান্যতা দেওয়া হয় । তার কতটা ঠিক-বেঠিক তা এই আলোচনার বিষয় নয় । সকলের মান্যতাপ্রাপ্ত প্রমিত বাংলাভাষার উচ্চারণই এখানে প্রাসঙ্গিক । সার্বজনীন মতানুকুল্য থাকা সত্বেও সামান্য সামান্য বিচ্যুতি কানে ধরা পড়ে । হুগলী, হাওড়া, কলকাতার ভাষায় 'ও' –কারের প্রাধান্য এবং চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার ঢাকা, খুলনার উচ্চারণে পার্থক্য করে দেয় । 'হাসপাতাল', 'হাসি' কলকাতার উচ্চারণে 'হাঁসপাতাল', 'হাঁসি' হয়ে যায় । ওষ্ঠবর্ণ দিয়ে আরম্ভ হওয়া সত্ত্বেও 'ফুল', 'ভুল' হয়ে যায় 'full' ও 'vul', যা কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় ।
এখানে 'ধ্বনি' কথাটির অর্থ – উচ্চারণযোগ্য এবং শ্রবণযোগ্য ক্ষুদ্রতম অংশ, যা বহু ক্ষেত্রেই অর্থহীন । এক বা একাধিক ধ্বনির সঠিক মিলনে অর্থপূর্ণ শব্দ সৃষ্টি করা যায় ।
এখানে 'শব্দ' কথাটির অর্থ - এক বা একাধিক ধ্বনির সঠিক মিলনে সৃষ্ট, উচ্চারণযোগ্য এবং শ্রবণযোগ্য ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ বাক্যস্থিত অংশ । শব্দ প্রধানতঃ চার প্রকার । তৎসম (সংস্কৃতজ শব্দাবলি), তদ্ভব (বিকৃত সংস্কৃতজ শব্দাবলি), দেশী, ও বিদেশী । বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অধিকাংশ তৎসম, কিছু তদ্ভব এবং বহু বিদেশী শব্দ তার মূল ভাষার অনুকরণে উচ্চারিত হয় । তার নিয়ম নির্দেশ এখানে দেওয়া গেল না । তাতে যে কেবল বিষয় বস্তুর আয়তন বৃদ্ধি হত তাই নয় হয়তো কিছুটা অপ্রাসঙ্গিকও হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল । দেশী শব্দগুলি মূলতঃ আঞ্চলিক এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাদের উচ্চারণে আঞ্চলিক প্রভাব থাকাই প্রণিধানযোগ্য । বিদেশী শব্দের ক্ষেত্রেও বিদেশী ভাষার প্রভাব থাকে । তবে কিছু ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার বিশেষ মাত্রা যুক্ত হতে দেখা যায় । যেমন – ইংরাজী ভাষাজাত শব্দ 'টেবিল' । এর আসল উচ্চারণ 'ঠেব্ল্', কিন্তু তার বঙ্গীয়করণ হয়ে গেছে । আবার ফার্সী ভাষাজাত 'বর্ফ' শব্দটি বাংলায় হয়েছে 'বরফ' । এর 'র' –এর আকার বৃদ্ধি হলেও 'ফ' –এর কোন পরিবর্তন হয়নি ।
বাংলা ভাষায় সাতটি মৌলিক স্বরধ্বনি । অ, আ, অ্যা, ই, উ, এ এবং ও । এদের অনেকের হ্রস্ব, দীর্ঘ ও সানুনাসিক প্রকরণ আছে । আরো কিছু স্বরধ্বনির কথা আমরা জানি তারা যৌগিক প্রকৃতির । ঋ, ঐ এবং ঔ এই গোত্রভুক্ত । ঋ, রি ও রী এদের মধ্যে বাংলায় কোন পার্থক্য নেই । যেমন নেই ঐ বা ওই -এর মধ্যে কিংবা ঔ এবং ওউ – এর মধ্যে । এ ছাড়া বাংলা বর্ণমালায় না থাকলেও হসন্তের ব্যবহার প্রচুর । লেখার সময় কখনো বা হস্ চিহ্ন ব্যবহার করা হয় । আরো একটি বর্ণের ব্যবহার আছে উচ্চারণে যার উপযোগ নেই বললেই চলে । সেটি হলো বিসর্গ । বিসর্গের স্থানে ধ্বনির দ্বিত্বের প্রয়োগ লক্ষিত হয় ।
বাংলা বর্ণগুলির মূল উচ্চারণ সকলে জানেন – এই ধরে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । উচ্চারণের বিশেষ কৌশলের অতি সামান্য বর্ণনা দেওয়া হয়েছে মাত্র । Phonetics –এর সাহায্য নিতে গেলে বিষয়টি অত্যন্ত জটিল এবং ব্যবহারকারীদের প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা । বিশেষতঃ স্বরধ্বনির যান্ত্রিক কৌশল খুবই কঠিন একটি বিষয় । এখানে বিভিন্ন পাতায় প্রথম বন্ধনীর ( ) মধ্যে উচ্চারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কেউ যেন তা বানানের নির্দেশ না মনে করেন । যেখানে এই নির্দেশ নেই ধরে নিতে হবে সেখানে উচ্চারণ বানান অনুসারেই হবে । উৎসাহী বাঙালী বাচিক, সঙ্গীত ও নাট্যশিল্পীদের অনিচ্ছাকৃত ভুল সংশোধনের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া গেল, অবাঙালী পাঠকদের কাজে লাগলে তা নিশ্চয়ই সুখকর হবে, কিন্তু বাংলাভাষাজ্ঞানহীন মানুষের পক্ষে এখান থেকে তার বিশিষ্ট উচ্চারণ পদ্ধতি আয়ত্ব করার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ ।
'য়' বর্ণটির উচ্চারণ নির্দেশ হয়তো খুব প্রাঞ্জল হয়নি । কারণ, এই বর্ণের উচ্চারণ নির্দেশক বিকল্প চিহ্নের অমিল ।
এই আলোচনা লিখিত আকারে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বাংলা বর্ণানুক্রমের প্রয়োগ করা হয়েছে । ধারাবিহিকতা রক্ষা করা সত্ত্বেও পাতাগুলিকে নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র রাখার চেষ্টা করা হয়েছে ।
বর্ণের স্বতন্ত্র পাতায় যেতে উপরে প্রদর্শিত 'বিভিন্ন ধ্বনির উচ্চারণ' বোতাম ও তার নীচে dropdown –এ নির্দেশ দেওয়া হল ।
More related guidelines for how to sing Tagore song. Visit the links below.
Introduction to Correct Pronunciations of Bengali alphabets